রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে?

উপমান এবং উপমেয়ের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হলে বা যার সাথে তুলনা করা হয় তার সাথে যাকে তুলনা করা হবে তার অভেদ কল্পনা করা হয় তাকেই রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এই সামসে উপমেয় পদ বা যাকে তুলনা করা হয় সেটা পূর্বে বসে এবং উপমানপদ বা যার সাথে তুলনা করা হয় তা পরে বসে।
[রূপ অথবা ই] যোগ করে [ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাসবাক্য] গঠন করা হয়। যেমন-

ক্ষুধা রূপ অনল = ক্ষুধানল
বা ক্ষুধাই অনল = ক্ষুধানল
এখানে [অনল বা আগুন] হলো উপমানপদ
এবং [ক্ষুধা] হলো উপমেয়পদ
ক্ষুধা হলো অনলের বা আগুনের মতো
উদাহরণ- মন রূপ মাঝি = মনমাঝি
বা মনই মাঝি = মনমাঝি
দিল রূপ দরিয়া = দিলদরিয়া
বা দিলই দরিয়া = দিলদরিয়া
বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু
ক্ষুধা রূপ অনল = ক্ষুধানল
বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন
শোক রূপ অনল = শোকানল
ক্রোধ রূপ অনল = ক্রোধানল
অমৃত রূপ বচন = অমৃতবচন

উপরের বাক্যে পূর্বপদ বা উত্তরপদ = [মন, দিল, বিষাদ, ক্ষুধা, বিদ্যা, শোক, ক্রোধ, অমৃত] এইসব বিশেষ্য বা Noun বা উপমেয় পদ গুলোকে  তুলনা করা হলো।
পরপদ বা উত্তরপদ = [মাঝি, দরিয়া, সিন্ধু, অনল, ধন, অনল, বচন] এই সব বিশেষ্যে বা Noun বা উপমানের সাথে তুলনা করা হয়েছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *