ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
যে তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি[র, এর] লোপ পেয়ে বা হ্রাস হয়ে বা কমে যে (সমস্তপদ বা সমাসনিষ্পন্ন)পদ গঠিত হয় তাকেই বা তাই ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস। উদাহরণ-
ভাইয়ের পো বা ছেলে = ভাইপো
রান্নার ঘর = রান্নাঘর
রাজার সভা = রাজসভা
মৌ এর চাক = মৌচাক
কুকুরের ছানা = কুকুরছানা
পরের অধীন = পরাধীন
ছাত্রের সমাস = ছাত্রসমাস
দেশের সেবা = দেশসেবা
দ্বিল্লীর ঈশ্বর = দ্বিল্লীশ্বর
বাঁদরের নাচ = বাঁদরনাচ
পাঁটের ক্ষেত = পাঁটক্ষেত
ছবির ঘর = ছবিঘর
ঘোড়ার দৌড় = ঘোড়দৌড়
শ্বশুরের বাড়ি = শ্বশুরবাড়ি
বিড়ালের ছানা = বিড়ালছানা
রাজার পুত্র = রাজপুত্র
পথের রাজা = রাজপথ
হাঁসের রাজা = রাজহাঁস
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের কিছু শর্ত বা নিয়ম:
১. এই ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে (ব্যাসবাক্যে বা সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যে) [রাজা] শব্দটি থাকলে তা সমস্তপদে [রাজ] রূপে ব্যবহার করা হয়।যেমন-
গজনীর রাজা = গজনীরাজ
হাঁসের রাজা = রাজহাঁস
২. ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে (ব্যাসবাক্যে বা বিগ্রহবাক্যে বা সমাসবাক্যে) পিতা, মাতা, ভ্রাতা, পদ গুলো থাকলে (সমস্তপদে বা সমাসনিষ্পন্ন) পদে পিতৃ, মাতৃ, ভ্রাতৃ ব্যবহৃত হয়৷ যেমন-
পিতার ধন = পিতৃধন
মাতার সেবা = মাতৃসেবা
ভ্রাতার স্নেহ = ভ্রাতৃস্নেহ
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের বিভক্তি [র এবং এর] লোপ পেয়ে বা হ্রাস পেয়ে গঠিত আরো কিছু সমাসের উদাহরণ–
পত্নীর সহ = পত্নীসহ
কন্যার সহ =কন্যাসহ
সহোদরের প্রতিম বা তুল্য বা সদৃশ = সহোদরপ্রতিম
অহ্নের বা দিনের পূর্বভাগ = পুর্বাহ্ণ
ছাত্রের বৃন্দ = ছাত্রবৃন্দ
গুণের গ্রাম = গুণগ্রাম
হস্তীর যূথ = হস্তীযূথ এখানে হস্তী = হাতি, যূথ = দল
পথের অর্ধ = অর্ধপথ
দিনের অর্ধ = অর্ধদিন
মৃগীর বা হরিণের শিশু = মৃগশিশু
ছাগীর দুগ্ধ = ছাগদুগ্ধ