[ তৎপুরুষ সমাস ]
যে সমাসের (পরপদ বা উত্তরপদ) প্রাধান্য পায় এবং (ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাসবাক্য) এর পূর্বপদের বিভক্তি [ লোপ পায় বা হ্রাস পায় বা কমে যায় বা বিলুপ্তি ঘটে] যায় তাকেই তৎপুরুষ সমাস বলে।
ব্যাক্যের পূর্বপদের যে “বিভক্তি” লোপ পায় বা হ্রাস পায় সেই “বিভক্তির” নাম অনুসারে বা অনুযায়ী সেই সমাসের নাম করণ করা হয়।
বিভক্তি: শব্দকে বাক্যে বা Sentence এ ব্যবহার করার জন্য বা পদ সৃষ্টির জন্য শব্দের সাথে কিছু বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি বা Letter বা হরফ যোগ করা হয় তাকেই বিভক্তি বলে।
যেমন- [ বা, অ, কে, রে, দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক, জন্য, নিমিত্তে, র, এর, য়, তে ইত্যাদি।
বিভক্তি অনুযায়ী তৎপুরুষ সমাস ৬ প্রকার
১.দ্বিতীয়া বিভক্তি
২.তৃতীয়া বিভক্তি
৩.চতুর্থী বিভক্তি
৪.পঞ্চমী বিভক্তি
৫.ষষ্ঠী বিভক্তি
৬.সপ্তমী বিভক্তি
তৎপুরুষ সমাসে আরো কিছু শাখা আছে
৭.অলুক বা অলুপ তৎপুরুষ
৮.নঞ তৎপুরুষ
৯. উপপদ তৎপুরুষ
১০.সুপসুপা তৎপুরুষ
তৎপুরুষ সমাসের বিস্তারিত আলোচনা:
১.দ্বিতীয়া তৎপুরুষ
তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি[ কে,রে] লোপ পেয়ে বা হ্রাস হয়ে বা কমে যে (সমস্তপদ বা সমাসনিষ্পন্ন)পদ গঠিত হয় তাকেই বা তাই দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস। যেমন-
গাকে ঢাকা = গা-ঢাকা
ভাতকে রাঁধা = ভাতরাঁধা
জলকে তোলা = জলতোলা
ফুলকে তোলা = ফুলতোলা
ছেলেকে ভুলানে = ছেলেভুলানো
রথকে দেখা = রথদেখা
বধূকে বরণ = বধূবরণ
কলাকে বেচা = কলাবেচা
দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত
বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন
বীজকে বোনা = বীজবোনা
নভেলকে পড়া = নভেল-পড়া ইত্যাদি
উপরের সমাসবাক্যের পূর্বপদের বিভক্তি [কে, রে] লোপ বা হ্রাস বাপেয়ে সমম্তপদ গঠিত হয়েছে। (ব্যাপ্তি বা প্রসার বা বিস্তৃতি) অর্থে (কালবাচক বা সময়বাচক) পদের সাথে দ্বিতীয় তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন-
চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী = চিরসুখী
চিরকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = চিরস্থায়ী
চিরকাল ব্যাপিয়া কৃতজ্ঞ = চিরকৃতজ্ঞ
চিরকাল ব্যাপিয়া দুঃখী = চিরদুঃখী
২.তৃতীয়া তৎপুরুষ
তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি [দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক] লোপ পেয়ে বা হ্রাস হয়ে বা কমে যে (সমস্তপদ বা সমাসনিষ্পন্ন)পদ গঠিত বা তৈরী হয় তাকেই বা তাই তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস। উদাহরণ-
দা দিয়ে কাটা = দাকাটা
মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
সর্প বা সাপ কর্তৃক দংশিত = সর্পদংশিত
এক দ্বারা উন = একোন
ঢেঁকি দ্বারা ছাটা = ঢেঁকিছাটা
শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ
তেল দ্বারা ভাজা = তেলভাজা
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচকম
[উন, হীন, শূন্য ] প্রভৃতি শব্দ (ব্যাসবাক্যে বা সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যের) পরপদ বা উত্তরপদে থাকলে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন-
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচকম
এক দ্বারা উন = একোন
জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য
উপকরণ বাচক বিশেষ্য বা Noun পদ যদি ব্যাসবাক্যের পূর্বপদে থাকে তাহলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন-
স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত = স্বর্ণমণ্ডিত
হীরক দ্বারা খচিত = হীরকখচিত
চন্দন দ্বারা চর্চিত = চন্দনচর্চিত
রত্ম দ্বারা শোভিত = রত্মশোভিত
৩.চতুর্থী বিভক্তি
যে তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাসবাক্য)এর পূর্বপদের চতুর্থী বিভক্তি [কে, রে (এরে), জন্য, নিমিত্ত] লোপ পেয়ে বা হ্রাস পেয়ে বা বিলুপ্ত হয়ে যে সমাস গঠিত হয় তাকেই চতুর্থী বিভক্তি বলে। উদাহরণ-
ডাকের জন্য মাশুল = ডাকমাশুল
মেয়েদের জন্য স্কুল = মেয়েস্কুল
হজ্বের জন্য যাত্রা = হজ্বযাত্রা
বসতের নিমিত্তে বাড়ি = বসতবাড়ি
বিয়ের নিমিত্তে পাগলা = বিয়েপাগলা
গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি
দেবকে দত্ত = দেবদত্ত
ছাত্রের জন্য আবাস = ছাত্রাবাস
মাপের জন্য কাঠি = মাপকাঠি
চোষের জন্য কাগজ = চোষকাগজ
মালের জন্য গুদাম = মালগুদাম
পাগলের জন্য গারদ = পাগলাগারদ
৪.পঞ্চমী বিভক্তি
যে তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদের পঞ্চমী বিভক্তি[হইতে, হতে, থেকে, চেয়ে] লোপ পেয়ে বা হ্রাস হয়ে বা কমে যে (সমস্তপদ বা সমাসনিষ্পন্ন)পদ গঠিত হয় তাকেই বা তাই দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস। উদাহরণ-
লোক হতে ভয় = লোকভয়
জেল হতে খালাস = জেলখালাস
স্কুল হতে পলানো = স্কুলপলানো
জন্ম হতে অন্ধ = জন্মান্ধ
বিলাত বা বিদেশ থেকে ফেরত = বিলাতফেরৎ
গাছ থেকে পড়া = গাছপড়া
পদ হতে চ্যুত = পদচ্যুত
আদি হতে অন্ত = আদ্যন্ত
সাধারণত পরপদে বা উত্তরপদে [চ্যুত, বিরত, আগত, ভীত, গৃহীত, মুক্ ত, উত্তীন, পারানো, ভ্রষ্ট] যুক্ত হলে বা থাকলে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন:-
জেল হতে মুক্ত = জেলমুক্ত
ঋণ হতে মুক্ত = ঋণমুক্ত
শাপ হতে মুক্ত = শাপমুক্ত
বোঁটা হতে খসা = বোঁটাখসা
কোন কোন ক্ষেত্রে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাসবাক্যে [এর,চেয়ে] অব্যয় বা অনুসর্গের ব্যবহার হয়। যেমন-
পরাণের চেয়ে প্রিয় =পরাণপ্রিয়
৫.ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
যে তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি[র, এর] লোপ পেয়ে বা হ্রাস হয়ে বা কমে যে (সমস্তপদ বা সমাসনিষ্পন্ন)পদ গঠিত হয় তাকেই বা তাই ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস। উদাহরণ-
ভাইয়ের পো বা ছেলে = ভাইপো
রান্নার ঘর = রান্নাঘর
রাজার সভা = রাজসভা
মৌ এর চাক = মৌচাক
কুকুরের ছানা = কুকুরছানা
পরের অধীন = পরাধীন
ছাত্রের সমাস = ছাত্রসমাস
দেশের সেবা = দেশসেবা
দ্বিল্লীর ঈশ্বর = দ্বিল্লীশ্বর
বাঁদরের নাচ = বাঁদরনাচ
পাঁটের ক্ষেত = পাঁটক্ষেত
ছবির ঘর = ছবিঘর
ঘোড়ার দৌড় = ঘোড়দৌড়
শ্বশুরের বাড়ি = শ্বশুরবাড়ি
বিড়ালের ছানা = বিড়ালছানা
রাজার পুত্র = রাজপুত্র
পথের রাজা = রাজপথ
হাঁসের রাজা = রাজহাঁস
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের কিছু শর্ত বা নিয়ম:
১. এই ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে (ব্যাসবাক্যে বা সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যে) [রাজা] শব্দটি থাকলে তা সমস্তপদে [রাজ] রূপে ব্যবহার করা হয়।যেমন-
গজনীর রাজা = গজনীরাজ
হাঁসের রাজা = রাজহাঁস
২. ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে (ব্যাসবাক্যে বা বিগ্রহবাক্যে বা সমাসবাক্যে) পিতা, মাতা, ভ্রাতা, পদ গুলো থাকলে (সমস্তপদে বা সমাসনিষ্পন্ন) পদে পিতৃ, মাতৃ, ভ্রাতৃ ব্যবহৃত হয়৷ যেমন-
পিতার ধন = পিতৃধন
মাতার সেবা = মাতৃসেবা
ভ্রাতার স্নেহ = ভ্রাতৃস্নেহ
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের বিভক্তি [র এবং এর] লোপ পেয়ে বা হ্রাস পেয়ে গঠিত আরো কিছু সমাসের উদাহরণ–
পত্নীর সহ = পত্নীসহ
কন্যার সহ =কন্যাসহ
সহোদরের প্রতিম বা তুল্য বা সদৃশ = সহোদরপ্রতিম
অহ্নের বা দিনের পূর্বভাগ = পুর্বাহ্ণ
ছাত্রের বৃন্দ = ছাত্রবৃন্দ
গুণের গ্রাম = গুণগ্রাম
হস্তীর যূথ = হস্তীযূথ এখানে হস্তী = হাতি, যূথ = দল
পথের অর্ধ = অর্ধপথ
দিনের অর্ধ = অর্ধদিন
মৃগীর বা হরিণের শিশু = মৃগশিশু
ছাগীর দুগ্ধ = ছাগদুগ্ধ
৬.সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস
তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি[ এ, য়, তে] লোপ পেয়ে বা হ্রাস হয়ে বা কমে যে (সমস্তপদ বা সমাসনিষ্পন্ন)পদ গঠিত হয় তাকেই বা তাই সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস। উদাহরণ-
গাছে পাকা = গাছপাকা
রাতে কানা = রাতকানা
তেলে ভাজা = তেলেভাজা
ইংরেজিতে শিক্ষিত = ইংরেজিশিক্ষিত
দিবায় নিদ্রা = দিবানিদ্রা
রণে বা যুদ্ধে পটু = রণপটু
বাকে পটু = বাকপটু
গোলাতে ভরা = গোলাভরা
তালে কানা = তালকানা [‘তাল”কাণ্ডজ্ঞানশূন্য]
কুকুরের ছানা = কুকুরছানা
অকালে মৃত্য = অকালমৃত্যু
পরের অধীন = পরাধীন
ভোজনে পটু = ভোজনপটু
দানে বীর = দানবীর
বাক্সে বন্দী = বাক্সবন্দী
বস্তায় পচা = বস্তাপচা
মনে মরা = মনমরা
পূর্বে ভূত = ভূতপূর্ব
পূর্বে অশ্রুত = অশ্রুতপূর্ব
পূর্বে অদৃষ্ট = অদৃষ্টপূর্ব
৭.অলুক বা অলুপ তৎপুরুষ সমাস
যে সমাসের বিভক্তি লোপ পা না বা হ্রাস হয় না তাকেই অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। উদাহরণ-
ঘেড়ার ডিম = ঘোড়ার ডিম
তেলে ভাজা = তেলেভাজা
কলুর বলদ = কলুরবলদ
ঘোড়ার ডিম = ঘোড়ারডিম
হাতের পাচ = হাতেরপাচ
মামার বাড়ি = মামারবাড়ি
সাপের পা = সাপেরপা
হাতে বোনা = হাতেবোনা
মনের মানুষ = মনেরমানুষ
কলের গান = কলেরগান
ভ্রাতার পুত্র = ভ্রাতুষ্পুত্র [ নিপাতনে সিদ্ধ]
৮.নঞ তৎপুরুষ সমাস
নঞ অর্থ হলো না বাচক। যে তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদের [নঞ-অব্যয় (ন, না, নয়, নেই,নাই)] পদ থাকে তাকেই বা তাই নঞ তৎপুরুষ সমাস।
নঞ (ন, না, নয়, নাই, নেই) এর স্থলে বা পরিবর্তে বা তার জায়গায় সমস্তপদে (অ, আ, অন, অনা, বে) এ সকল উপসর্গ ব্যবহার করা হয়।যেমন-
নয় বা ন অন্ত = অনন্ত
নয়/ন মিল = অমিল
নয়/ন সুখ = অসুখ
নয়/ন সরকারি = বেসরকারি
নয়/ন আচার = অনাচার
নয়/ন এক = অনেক
নয়/ন কাল = আকাল বা অকাল
নয়/ন ধোয়া = আধোয়া
নয়/ন মঞ্জুর = নামঞ্জুর
নয়/ন কেজো = অকোজো
নয়/ন জানা = অজানা
নয়/ন চেনা = অচেনা
নয়/ন আবাদি = অনাবাদি
নয়/ন বালক = নাবালক
নয়/ন লুনি = আলুনি
নয়/ন বিশ্বাস = অবিশ্বাস
নয়/ন লৌকিক = অলৌকিক
নয়/ন কেশা = অকেশা
নয়/ন সুর = অসুর।
নয়/ন মানুষ = অমানুষ
নয়/ন সঙ্গত = অসঙ্গত
নয়/ন ভদ্র = অভদ্র
নয়/ন গম্য = অগম্য
৯. উপপদ তৎপুরুষ সমাস
যে তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) উপপদ বা বিশেষ্য বা Noun পদের সাথে কৃদন্ত [ধাতু + কৃতপ্রত্যয়] পদের যে সমাস হয় তাকেই উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে।
কৃদন্তপদ: [ধাতু বা ক্রিয়াপ্রকৃতি বা ক্রিয়ামূলের পরে প্রত্যয় বা suffix যোগ করে কৃদন্ত পদ হয় বা তাকেই কৃদন্ত পদ বলে। ধাতুর সাথে যে সকল প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে কৃত প্রত্যয় বলে। উদাহরণ-
পাকেট মারে যে = পকেটমার
ছেলে ধরে যে = ছেলেধরা
যাদু করে যে = যাদুকর
জল দেয় যে/যা = জলদ বা সমুদ্র
পঙ্কে বা কাদায় জন্মে যে/যা = পঙ্কজ
পা দ্বারা পান করে যে = পাদপ
গৃহে বাস করে যে = গৃহস্থ
ইন্দ্রকে জয় করে যে = ইন্দ্রজিৎ
উপরের বাক্যে কৃদন্ত পদ গুলো হলো:-[মারে, ধরে, করে, দেয়, জন্মে] ইত্যাদি।
উপপদের সাথে বা বিশেষ্যের সাথে এই সকল কৃদন্ত পদের সামাসে উপপদ তৎপুরুষ সমাস হয়।
১০.প্রাদি তৎপুরুষ সমাস
যে তৎপুরুষ সমাসের (ব্যাসবাক্যের বা সমাসবাক্যের বা বিগ্রহবাক্যের) পূর্বপদে [প্র, পরা, প্রতি, অনু, বি ] উপসর্গ বা Prefix বসে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে তাকেই প্রাদি তৎপুরুষ সমাস বলে। উদাহরণ-
প্র (প্রকৃষ্ট) ভাত = প্রভাত
প্র-(প্রকৃষ্ট) বচন = প্রবচন।
বি-(বিশেষ) = বিমাতা
প্রাদি তৎপুরুষ সমাসের উপসর্গ গুলো দ্বারা [ প্রভাত প্রবচন, বিমাতা] এরকম বিশেষ অর্থ প্রকাশ কারছে। যেমন-
প্রভাত =”ভাত” বলতে আমরা [চালসিদ্ধ বা সিদ্ধচাল বা] অর্থ প্রকাশ করছে কিন্তুু ”প্রভাত” বলতে আমরা (সকাল বা Morning)বুঝি এবং তা ঠিক অর্থটাই প্রকাশ করে।
মাতা = জননী, গর্ভধারিণী
বিমাতা = পিতার অন্য স্ত্রী, সৎমা [বি(বিরুদ্ধ)+মাতৃ]
তৎপুরুষ সমাসের বিস্তারিত আলোচনাতে প্রায় ১৫০ টির মতো উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে৷
নিয়মসহ উদাহরণ গুলো কয়েকবার পড়লেই তোমাদের মনে গেঁথে যাবে।।