এই উপমিত কর্মধারয় সমাসে গুণের বা ধর্ম বা Adjective এর উল্লেখ থাকে না। উপমান পদ [মানে হচ্ছে যার সাথে তুলনা করা হয় ] ও উপমেয় পদ [যাকে তুলনা করা হয়। ] মিলে যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
উপমিত কর্মধারয় সমাসের উভয় পদ [পূর্বপদ এবং পরপদ বা উত্তরপদ] বিশেষ্য বা Noun হয়। উদাহরণ-
বাহু লতার ন্যায় বা মতো=বাহুলতা
পুরুষ সিংহের ন্যায় = পুরুষসিংহ
চন্দ্রের ন্যায় মুখ = চন্দ্রমুখ
নর সিংহের ন্যায় = নরসিংহ
অধর পল্লবের ন্যায় = অধরপল্লব
নয়ন কমলের ন্যায় = নয়নকমল
চক্ষু পদ্মের ন্যায় বা পদ্মের ন্যায় চক্ষু = পদ্মচক্ষু
সোনার ন্যায় মুখ = সোনামুখ
উপরের বাক্যে উপমান পদ বিশেষ্য হলো = [লতা, সিংহ, চন্দ্র, সিংহ, পল্লব,
উপমেয় পদ বা যাকে তুলনা করা হচ্ছে তা হলো = [বাহু, পুরুষ, মুখ, নর, অধর,
তাহলে বুঝতে পারলাম গুণের কথা উল্লেখ না করে বিশেষ্য এবং বিশেষ্য পদের সমাসই হলো উপমিত কর্মধারয় সমাস।
উপমান এবং উপমিত কর্মধারয় সমাস চিনতে বা নির্ণয় করতে সহজ এবং প্রকৃত উপায় হলো সাধারণ ধর্ম বা গুণবাচক পদ বা বিশেষণ বা Adjective।